একটিভ ব্লগ নিউজ https://www.activeblognews.com/2023/07/blog-post_22.html

আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত - আইফেল টাওয়ার কেন বিখ্যাত

আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত এই বিষয়টি আমরা অনেকেই জেনে থাকলে আইফেল টাওয়ার এর ইতিহাস সম্পর্কে অনেকেই জানিনা। আবার আইফেল টাওয়ার কেন বিখ্যাত এই বিষয় নিয়ে অনেকের মনেই অনেক রকমের প্রশ্ন রয়েছে।
আজকের পোষ্ট এর আলোচ্য বিষয় আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত এবং আইফেল টাওয়ার কেন বিখ্যাত। তাহলে চলুন বিস্তারিত জানা যায়।

পোস্ট সূচিপত্রঃ আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত - আইফেল টাওয়ার কেন বিখ্যাত

আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত

আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত এবিষয়টি অনেকেই জানি। এই টাওয়ার প্যারিসের সেইন নদীর তীরবর্তী এলাকায় অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম নিদর্শন। ফরাসী বিপ্লব স্বরনীয় করে রাখতে নির্মাণ করা হয়েছিলো আইফেল টাওয়ার।

আইফেল টাওয়ার কোন নদীর তীরে অবস্থিত

আইফেল টাওয়ার প্যারিস শহরের আকর্ষণ নয়, গোটা বিশ্বে পরিচিত এক নাম।। আর এই আইফেল টাওয়ার কোন নদীর তীরে অবস্থিত এটি হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। আইফেল টাওয়ার প্যারিস এর বিখ্যাত সেইন নদীর তীরে অবস্থিত।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার আইফেল টাওয়ারটি ধ্বংস করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। যদিও তা অমান্য করা হয়েছে। নির্মাণের ২০ বছর পর এটি খুলে ফেলারও সিদ্বান্ধ নেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তার আগেই আইফেল টাওয়ারে খ্যাতি ছড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী।

১৩১ বছর বয়সী এ টাওয়ার কাছে টানছে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আর ভূমিকা রাখছে দেশের অর্থনীতিতে। সেইন নদীর তীরে যেন এক সৌন্দর্যের নাম আইফেল টাওয়ার।

যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর এভাবেই মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে লোহা দিয়ে তৈরী এ স্তম্ভ যা কিনা সপ্তম আশ্চার্য্যের অন্যতম নিদর্শন। কিন্তু প্রশ্ন হলো পর্যটকদের কাছে দেখার মতো কি এমন বস্তু এটি, যাকে ঘিরে বছর জুড়েই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে প্যারিসে।

আইফেল টাওয়ারের ইতিহাস

আইফেল টাওয়ারের ইতিহাস অনেক সমৃদ্ধ। গোস্তাব আইফেল ১৮৮৯ সালে এটি নির্মাণ করেন। ১০৫০ ফুট উচ্চতার এ বিশাল টাওয়ার টি মাত্র ৩০০ জন শ্রমিক ২ বছর ২ মাস ২ দিনে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন।

পরবর্তী ১৯৪০ সালের আগপর্যন্ত গোটা বিশ্বে ৩০০ মিটার উচ্চতা সম্পন্ন এ টাওয়ারটিই ছিলো সবচেয়ে উচ্চতর টাওয়ার। তাই আইফেল টাওয়ারের ইতিহাস মানুষকে স্পর্শ করে।

আইফেল টাওয়ারের উচ্চতা কত

আইফেল টাওয়ারের উচ্চতা কত হতে পারে আপনি অনুমান করতে পারেন কি। পাড়ার কথা কিছুক্ষণ আগে আমরা জেনেছি আইফেল টাওয়ার তৈরি করতে ৩০০ জন শ্রমিক ২ বছর ২ মাস ২ দিন কাজ করেছেন। আর এই টাওয়ারের উচ্চতা ১০৫০ ফুট।

আইফেল টাওয়ার কেন বিখ্যাত

এই টাওয়ারটি কখনো কখনো প্রকৃত উচ্চতার চেয়েও আরো বেশি লম্বা দেখায়। এই ঘটনাটি ঘটে মূলত লোহার দৈর্ঘ্য সম্প্রসারণের ফলে। পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায় বলতে গেলে , কোনো কঠিন পদার্থকে তাপ প্রদান করা হলে তা আয়তনে বৃদ্ধি পায়। আর ঠিক এই ঘটনাটিই ঘটে আইফেল টাওয়ারের ক্ষেত্রে। তবে তা কিভাবে?

চলুন জেনে নিই – গ্রীষ্মকালে সূর্যের প্রচণ্ড তাপে টাওয়ারটির ধাতব কাঠামো সমূহের ধাতব সম্প্রসারণ ঘটে। অর্থাৎ টাওয়ারটিতে ব্যবহৃত লোহার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায়। আর এই কারণেই টাওয়ারটিকে কখনো কখনো প্রকৃত উচ্চতার চেয়েও কিছুটা বেশি উঁচু মনে হয়। এছাড়াও টাওয়ারটি মাঝে মাঝে সূর্যের তাপে লৌহ সম্প্রসারণের কারণে কিছুটা হেলে পড়ে। ফলে আইফেল টাওয়ার কখনো কখনো আবার বিদীর্ণ রূপও ধারণ করে বটে।

এই টাওয়ারের মূল আকর্ষণ হলো, টাওয়ারের চুড়া থেকে পুরো শহরের সৌন্দর্য্য দেখা যায়। প্রতি বছর কয়েক লক্ষাধিক পর্যটক প্যারিস আসেন শুধু মাত্র আইফেল টাওয়ারকে কেন্দ্র করে।

বিশেষ দিনগুলোতে আইফেল টাওয়ারকে বিশেষ রঙ্গে সাজানো হয়। ফলে আইফেল টাওয়ারের সৌন্দর্য্য আরো বৃদ্ধি পায়। তিল ধরারও ঠাই থাকে না, দেশী বিদেশী পর্যটকদের ভীড় থাকে চোখে পড়ার মতো।

আইফেল টাওয়ার উড়িয়ে দেয়ার হুমকিও এসেছে জঙ্গি সংগঠন আই এস এস থেকে তাই আইফেল টাওয়ারকে বিশেষ নিরাপত্তার বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিরাপত্তা বেষ্টনী অতিক্রম করে এর সৌন্দর্য্য দেখার সুযোগ রয়েছে।

শেষ কথা

আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত। আইফেল টাওয়ার কেন বিখ্যাত আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন আইফেল টাওয়ার কেন বিখ্যাত। আইফেল টাওয়ার কোথায় অবস্থিত এ বিষয়ে ও আমাদের পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। যারা ভ্রমণপিপাসু তাদের মনে স্বপ্ন থাকে জীবনে একবার হলেও আইফেল টাওয়ার দেখতে যাওয়া।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া