একটিভ ব্লগ নিউজ https://www.activeblognews.com/2023/07/blog-post_14.html

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল

টাইটানিক নামক বিশাল জাহাজের সাথে পরিচিত নয় এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টোকর। বিশেষ করে জন ক্যামেরুনের "TITANIC" সিনেমার পরে এই টাইটানিক যেন পরিচিতি পায় নতুন এক ভিন্ন রূপে।
আজকের এই আর্টিকেলে টাইটানিক জাহাজ ডুবার কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।

পোষ্ট সূচিপত্রঃ টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল - টাইটানিক জাহাজের বর্তমান অবস্থা

টাইটানিক জাহাজ কোন দেশ তৈরি করেছিল

টাইটানিক জাহাজ কিভাবে ডুবে গিয়েছিল এই ইতিহাস জানতে চান? চলুন শুরুতে জানি টাইটানিক জাহাজ কোন দেশ তৈরি করেছিল।টাইটানিক জাহাজটি নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯০৭ সালে পাঁচ বছর একটানা কাজ করে ১৯১২ সালে জাহাজটির কাজ শেষ হয় ইংল্যান্ডের হোয়াইট স্টার লাইন এই জাহাজটি নির্মাণ করেন। সেই টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবে গিয়েছিল তা জানতে আমাদের সাথে থাকুন।

টাইটানিক জাহাজের ইতিহাস

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল তার আগে চলুন টাইটানিক জাহাজের ইতিহাস জানি। টাইটানিক নয় সালের 31 মার্চ প্রথম টাইটানিকের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয় জাহাজটি ব্রিটিশ শিপিং কোম্পানি হোয়াট স্টারলাইনের মালিকানাধীন নির্মাণের দায়িত্ব নেয় এটি তৈরি করা হয় ইউনাইটেড কিংডম এর ফাস্ট এর ওল্ড শিপইয়ার্ডে জন প্রিয়ার পন্ট মর্গান নামক একজন আমেরিকান ধন কুপ এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেন্টাইল মেরিন কোং এর অর্থায়নে এরপর দীর্ঘ চার বছর পর ৩১ মার্চ ১৯১২ নিজের বুকে ছাড়া আর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় টাইটানিকের নামকরণ করা হয়।

টাইটান থেকে টাইটান হল সৃষ্টির একজন শক্তিশালী দেবতার নাম গ্রীকরা বিশ্বাস করত এই দেবতার কাজ শুধু সৃষ্টি করা আর এই দেবতার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় টাইটান থেকে ক্ষনিকের সংক্ষিপ্ত নাম আর এম এস আর পূর্ণ নাম রয়াল মেইল শিপ টাইটান এবং টাইটানিকের নম্বর ছিল ৩ লক্ষ ৯০ হাজার ৯০০৪ টাইটানিক ডিজাইন করেন থমাস রেন্দু এমনভাবে ডিজাইন করেছেন ও ধরনের ঝড় জল জলোচ্ছ্বাস এর মধ্য দিয়েও চলতে পারবে টাইটানিক নির্মাণ করতে খরচ হয়েছিল প্রায় দশমিক পাঁচ মিলিয়ন ডলার এখনকার সময়ের প্রায় ১৬৫ মিলিয়ন ডলার।

এর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় 882 ফুট দুই ইঞ্চি, প্রস্থ ছিল ৯২ ফুট এ ছিল প্রায় ষাট হাজার ৩২৮ লংটন পানি থেকে জাহাজের টা ছিল 59 ফুট এত বড় জাহাজ নির্মাণ করা সম্ভব মানুষ তা কখনো কল্পনাও করেনি জাহাজটিতে সর্বোচ্চ ৩৫৪৭ জন যাত্রী ও ক্রু বহন করতে পারত একি ছিল।

এযাবতকালের সবচেয়ে অদ্ভুত পূর্ণ মাপে নির্মিত করা একটি জাহাজ ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্য ছিল বিলাসবহুল ডাইনিং এর ব্যবস্থা যা প্রায় একসাথে ৫৫০ জনের খাবার খেতে বসতে পারতো এছাড়াও ছিল এর অভ্যন্তরে সুইমিং পুল জিমনেসিয়াম বাত ব্যয়বহুল ক্যাসে এবং ফাস্ট ক্লাস ও সেকেন্ড ক্লাস উভয় যাত্রীদের জন্য আলাদা বিশাল লাইব্রেরী আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে ঘটেছিল।

টাইটানিক জাহাজের রহস্য

এই টাইটানিক জাহ ব্যবস্থাও ছিল আরো উন্নত এজাহাজের ফার্স্ট ক্লাসের জন্য তিনটি ও সেকেন্ড ক্লাসের জন্য মোট চারটি গেট বা দরজা ছিল টাইটানিক জাহাজের রহস্য নিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন আচ্ছা ঠিক দুই মাস আগে আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবল জোয়ার এসেছিল প্রবল জোয়ারের কারণে আটলান্টিক মহাসাগরে ভাসমান বরফে টাইটানিকের যাত্রার পথে বাধা সৃষ্টি হয়।

টাইটানিক এর ইতিহাস এখানেই শেষ নয়। কঠিন বরফে গতিপথ বদলে দেয় বরফের সঙ্গে টাইটানিকের এক প্রচন্ড ধাক্কা লাগে যে রাত্রে টাইটানিক ডুবে যায় সেদিন চাঁদের আলো এমন বেঁকে পড়েছিল যে আটলান্টিকের জল এসেই আলো পড়েই প্রতিসরণ সৃষ্টি হচ্ছে বিজ্ঞানীরা বলেছেন কারণে ভেসে আসা বরফ করতে পারেননি জাহাজের ক্যাপ্টেন ও কর্মীরা

টাইটানিক জাহাজের দৈর্ঘ্য

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল জানার আগে টাইটানিক জাহাজের দৈর্ঘ্য জানি চলুন। টাইটানিকের ৬০ হাজার টন ওজন এবং ২৭৫মিটার দীর্ঘ একটি জাহাজ

টাইটানিক জাহাজ কত তলা ছিল

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল, টাইটানিক জাহাজ কত তলা ছিল। কত প্রশ্ন আপনাদের। চলুন জানি টাইটানিকের উচ্চতা ছিল ৮৮৫ ফিট আর যাত্রী বহন ক্ষমতা ছিল 24000।

টাইটানিক কত সালে ডুবে যায়

টাইটানিকের বর্তমান অবস্থা জানতে আমাদের সাথেই থাকুন। কত সালে টাইটানিক ডুবে যায়, এ প্রশ্নের উত্তর সকলেরই জানা।

১৯১২ সালের ১৯ এপ্রিলের শীতল আর চাঁদহীন এক রাতে ১২৫ মিটার দীর্ঘ ওই আইসবার্গের সাথে যাত্রীবাহী জাহাজ এস টাইটানিকের ধাক্কা লাগে উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডের জাহাজটির সেই মাত্রা ছিল প্রথম যাত্রা সংঘর্ষে তিন ঘণ্টার মধ্যে জাহাজটি ডুবে যায়। 

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল এ প্রশ্নের উত্তর খোজার পালা। সৌর ঝড় ও জিও ম্যাগনেটিক ঝড় এই দুই টাইটানিকের নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট করে দিয়েছিল বিশেষ করে এই ঝড়ের জন্যই জাহাজের চুম্বকীয় কম্পাস ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনি আর যার ফলাফলে দিক ভুল করে titanic হিমশইলে ধাক্কা মারে পড়তে বলা হয় জাহাজের কিছু নতুন কর্মীদের জন্যই টাইটানিকের এই দুর্ঘটনা

টাইটানিক জাহাজ ডুবতে কত সময় লেগেছিল

২ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় ধরে ডুবে যায় আটলান্টিক বেশি মানুষের মৃত্যু ঘটে শান্তি কালীন সময়ে প্রাণঘাতী সামুদ্রিক বিপর্যয় পরিণত হয়েছে

টাইটানিক জাহাজের বর্তমান অবস্থা

টাইটানিক জাহাজ কেন ডুবেছিল তা ত জানলেন। চলুন জানি টাইটানিক জাহাজের বর্তমান অবস্থা।তুলনামূলকভাবে জাহাজটির পশ্চাভাগের অবস্থা এখন খুবই শোচনীয় সেটি প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে জাহাজটি ডুবে যাবার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় হাজার হাজার বস্তু ডুবে গিয়েছিল টাইটানিকের ভগ্না বসেসের চারপাশে একটি ধ্বংসস্তূপ তৈরি হয়ে আছে আজও টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরের ১০০ ফুট গভীরে পড়ে রয়েছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ

আমাদের শেষ কথা

কথায় বলা হয় অতি বাড় বেরোনা ঝরে পড়ে যাবে টাইটানিক যে তৈরি করেছিলেন তার সেই দম্ভ যে ছিল এই টাইটানিককে কেউ ডোবাতে পারবেনা অসম্ভব হয়তো সেই কথাটিকে ভুল প্রমাণিত করে প্রকৃতি। তা প্রমাণ করতেই সেদিনই টাইটানিক তার প্রথম যাত্রায় ডুবে যায়।

আশা করি জানতে পারলেন টাইটানিকেরর কথা, টাইটানিক কেন ডুবেছিল, টাইটানিক জাহাজের বর্তমান অবস্হা। এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

অন্যদের সাথে শেয়ার করুন

0 Comments

দয়া করে নীতিমালা মেনে মন্তব্য করুন ??

নটিফিকেশন ও নোটিশ এরিয়া